নেত্রকোণার বারহাট্টায় স্কুল থেকে ফেরার পথে মুক্তি রানী বর্মণ নামে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার প্রেমনগর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। মুক্তি ঐ গ্রামের নিখিল বর্মনের মেয়ে এবং প্রেমনগর-ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত তরুণের নাম কাউছার। তিনি একই গ্রামের সামছু মিয়ার ছেলে।
মুক্তি বর্মনের ভাই লিটন বর্মন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, মুক্তিকে নেত্রকোণা সরকারি হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত মুক্তির সহপাঠীরা জানান, বিকেলে স্কুল থেকে ফিরছিলেন তারা। পথে কাউসার এসে দা দিয়ে মুক্তিকে কোপাতে থাকে। সহপাঠীদের চিৎকারে লোকজন এসে মুক্তিকে উদ্ধার করে বারহাট্টা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাকে নেত্রকোণায় পাঠানো হয়।
কাউসার মুক্তি রানীকে উত্ত্যক্ত করতেন বলে দাবি করেছেন মুক্তির বড় বোন রুজিনা রানী বর্মন।
তিনি বলেন, কাউছার আমাকেও উত্ত্যক্ত করত। তার হুমকির কারণে পঞ্চম শ্রেণি পাশের পর নেত্রকোণায় আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হই। কাউছারের বাবা শামছুর কাছে বিচার দিয়েছিলাম, কাজ হয় নি। আমি চলে যাওয়ার পর থেকে আমার বোনকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। কথা না মানায় কাউছার আমার বোনকে খুন করছে। আমি এর বিচার চাই।